The Chittagong University Museum was established in 1973 at the initiative of the Chittagong University Authority. As an academic museum, the Chittagong University Museum accelerates advanced learning by the provision of materials and facilities for research. It also aims to stimulate public interest and encourages understanding and appreciation of the history, archaeology and art heritage of Bangladesh.
The Chittagong University (CU), a multidisciplinary, research-oriented public university, took the responsibility of the historic region by founding its own academic museum. The museum is administrated by a board of trustees, which constituted by the university syndicate. Currently, the museum is capturing a significant position on the university campus by establishing pleasurable learning experiences and creating an academic atmosphere through exhibitions, research and publications as a tool of visual education.
Though the Chittagong University Museum was officially opened on 14 June 1973, its founding process actually began on 26 November 1966, also the day in which CU started its journey. The idea of a museum inadvertently emerged from an exhibition where some 24 objects of antiquity were displayed to mark the university’s inauguration. Mr. Mumtaz Hasan, president of the Museum Association of Pakistan and then Managing Director of the National Bank of Pakistan, donated those items to the university. Renowned historian and antiquarian Prof Azizur Rahaman Mallick (1918-97), the first Vice Chancellor (VC) of CU, conceived the idea and actively initiated the collections along with eminent historian and supernumerary professor Dr Abdul Karim, also a former CU VC and head of its history department. The other objects were collected through a joint field survey conducted by the teachers and students of the Department of History at CU. Dr. Shams ul Hossain, one of the students of the maiden batch of the department and also the first curatorial founding staff of the Chittagong University Museum, was a member of the survey team led by Prof Dr Abdul Karim.
The collection of the museum contains raw source of history and culture of Bangladesh. The exhibits described and documented in this museum have been carefully chosen from numerous antiquities found in and around greater Chittagong and several parts of the country, which encompasses more than two thousand years of history. According to acquisition register, the number of objects of antiquities is nearly 2,000 pieces. Those objects include ancient and medieval coins, inscriptions, manuscripts, sculptures, epigraphs, wood works, terracotta, arm and armaments, textiles, metalwork, metal ware, porcelain, jewelry, minor art and contemporary art of Bangladesh.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়র উদ্যোগে ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় । মূল উপাদান ও গবেষণাধর্মী তথ্য উপাত্ত যোগানের মধ্যে দিয়ে এটি একটি একাডেমিক জাদুঘর হিসেবে উন্নততর শিক্ষার পথকে সুগম করেছে। এছাড়াও এটির উদ্দেশ্য হলো সাধারণ জনগণের কৌতুহলকে উদ্দিপÍ করা এবং বাংলাদেশের ইতিহাস, প্রতœ-তত্ত্ব ও শিল্প-ঐতিহ্যকে বুঝতে এবং এর রস আস্বাদনে সহায়ক ভুমিকা রাখা।
বিবিধ বিষয়ে শিক্ষাদান ও গবেষণা কর্মকান্ডে সক্রিয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এই ঐতিহাসিক অঞ্চলে নিজস্ব একাডেমিক জাদুঘর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে তার গুরু দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে। এই জাদুঘরের প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় একটি বোর্ড অব ট্রাস্টির মাধ্যমে যেটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক গঠিত। দর্শনীয় শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন প্রদর্শনী, গবেষণা ও প্রকাশনার আয়োজন করে চ. বি. জাদুঘর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দময় দর্শনীয় শিক্ষা ও একাডেমিক পরিবেশ সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে উল্লেখযোগ্য অবস্থান দখল রয়েছে।
যদিও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে উন্মুক্ত হয় ১৪ জুন ১৯৭৩ সালে কিন্তু এর কার্যক্রমের সূচনা পরিলক্ষিত হয় ২৬ নভেম্বর ১৯৬৬ সালে যেদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রথম যাত্রা শুরু করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যলয়ের উদ্বোধনী দিনকে স্বরণীয় করে রাখতে ২৪টি প্রতœ-সামগ্রী নিয়ে একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় যাতে একটি জাদুঘরের সুপ্ত ধারণা অনুভূত হয়। মিউজিয়াম এসোসিয়েসন অব পাকিস্থানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্থানের ম্যানেজিং ডিরেক্ট জনাব মমতাজ হাসান ঐসব প্রতœ-সামগ্রী দান করেন বিশ্ববিদ্যালয়কে । এই সুপ্ত ধারণা লালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ও খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ এবং প্রতœ-তত্ত্ব গবেষক প্রফেসর আজিজুর রহমান মল্লিক (১৯১৮- ১৯৯৭) খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ এবং সুপারনিউম্যারারী প্রফেসর ড. আবদুল করিম (প্রাক্তণ উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) কে নিয়ে সক্রিয়ভাবে প্রতœ-সামগ্রী সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। অন্যান্য প্রতœ-সামগ্রীগুলো সংগৃহিত হয় ড. আবদুল করিমের তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ইতিহাস বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্রÑছাত্রীদের ফিল্ডসার্ভের মধ্যে দিয়ে। উক্ত ক্ষেত্রসমিক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ইতিহাস বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের প্রথম কিউরেটরিয়াল কর্মকর্তা ড. শামসুল হোসাইন।
ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে অবশেষে ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পাহাড়ের পাদদেশে সবুজ গাছের আড়ালে ঢাকা দুতলা বিশিষ্ট ভবনে(বর্তমান অবস্থানে)স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়।
জাদুঘরের দ্বিতীয় তলায় ৫টি গ্যালারি দ্বারা সজ্জিত সেগুলো হলো :
১. প্রাক-ঐতিহাসিক এবং প্রতœ-তত্ত্ব গ্যালারি
২. প্রাচীন ভাষ্কর্য গ্যালারি
৩. ইসলামিক শিল্পকলা গ্যালারি
৪. লোকশিল্প গ্যালারি
৫. সমকালীন চারুশিল্প গ্যালারি
অন্যদিকে নীচের তলায় রয়েছে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ কোষ-গ্রন্থাগার,একটি কনজারভেশন ল্যাবরেটরি, একটি অস্থায়ী প্রদর্শনী ও সেমিনার কক্ষ, একটি ডুকমেন্টেশন ও গবেষণা কেন্দ্র, জাদুঘরের স্টোর রুম এবং অফিস কক্ষ সমূহ। একটি মুক্ত মঞ্চ ও ”একুশে চত্ত্বর ” নামক বাগানসহ সুন্দর আঙ্গিনা জাদুঘরকে পুর্নাঙ্গ করেছে।
স্থায়ী সংগ্রহ : জাদুঘরের সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির মূল উপাদান। স্থায়ী প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত শিল্প-সামগ্রী গুলো অসংখ্য প্রতœ-সামগ্রী থেকে বাচাই করে সযতেœ নির্বাচন পূর্বক প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া এসব সামগ্রী দুই হাজার বছরের ইতিহাসকে বিবৃত করে। একুজিশন রেজিস্টারের তালিকা অনুযায়ী জাদুঘরে দুই হাজারের অধিক প্রতœ-সামগ্রী রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় মুদ্রা, শিলালিপি, হস্তশিল্প, প্রাচীন ভাষ্কর্য, এপিগ্রাফ, কাঠের শিল্প, টেরাকোটা, অস্ত্র-শস্ত্র, পোষাক-পরিচ্ছদ, ধাতব শিল্প, ধাতব পাত্র, পরসোলিন, অলংকার শিল্প, লোক-শিল্প, কুটির শিল্প এবং বাংলাদেশের সমকালীন চারুশিল্প উল্লেখযোগ্য।